Skip to main content

তোমায় ভেবে ভেবে - কবির মন্ডল

তোমায় ভেবে ভেবে
কখন যে ঘুমিয়ে পরেছিলেম
মাথা ঝুকিয়ে টেবিলের উপর
তোমার দুষ্টুমি ভরা চোখ
দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা ছবি গুলো
আমার ঘুমিয়ে থাকার দৃশ্য দেখে হাসে
মনে হয় আজব চিরিয়া ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সার্কাস দেখাচ্ছে
তুমি রক্ত জবার লেহিন ওষ্ঠে আমার কাছে এলে
আমার ধুসর বর্ণের গাল কে রক্তিমতায় ভরিয়ে দিলে
উষ্ণ আলিঙ্গনের পরশ শেষে তুমি আড়াল হতে লাগলে
আমি ঝাপটি মেরে তোমার হাতটি ধরতে চাইলাম
হঠাৎ দেখি চেয়ার নিয়ে চরকির ন্যায় মাটিতে লুটায়ে পরলাম
আমার মাথা মাটির সাথে যূদ্ধে রত
কিন্তু পা উর্ধ আকাশে উড়তে চায়
এদিক সেদিক তাকিয়ে টেবিলটাকে খুজে পাচ্ছি না
তবে কি সেও ডানা মেলেছে?
সে ওখানে কি করছে, শূণ্যে বাসা বেধেছে?
আমিও চেয়ে ছিলাম ঘর বাধব বসন্তের বাতাসে।
নেমে এসো, আমি হা করে চেয়ে দেখলাম সে নেমে আসছে
সে নেমে এসে আমার বক্ররেখার সুয়ে থাকাকে সটাং করে দিল
আমি 'জ্যাক দ্যা রিপার' এর কবিতা পড়েছি
সেখানেও লেখা ছিলনা প্রেমের এই বর্বর সূত্র
এখন থেকে আর ঘুমিয়ে নয়
জেগে জেগে স্বপ্ন দেখব চেতনা কে জাগ্রত রেখে
রক্তিম বর্ণের রক্ত দিয়ে সাহিত্য লেখব
তোমার ওষ্ঠে ঝড়ানো রং এ কবিতা লেখব
চেতনার ক্যানভাসে

- কবির মন্ডল

লেখাঃ বিকাল ৭:৪ ৩০-৮-২০১৫

Comments

Popular posts from this blog

তোমার বাড়ির রাস্তাটার মায়াই পরেছি

তোমার বাড়ির রাস্তাটার মায়াই পরেছি তোমার বাড়ির ফুলগাছটার মায়াই পরেছি তোমার বাড়ির গেটের আমি মায়াই পরেছি তোমার বাড়ির জানালার মায়ায় পরেছি এই ভেবনা তোমার বাবার ধনের লোভে পরেছি হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি তোমার বাড়ির ছাদের আমি মায়ায় পরেছি তোমার বাড়ির বারান্দার মায়ায় পরেছি তোমার পরার টেবিলের মায়ায় পরেছি তোমার বাড়ির ময়না পাখির মায়ায় পরেছি এই ভেবনা তোমার বাবার ধনের লোভে পরেছি হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি তোমার বাকা ঠোটের হাসির মায়ায় পরেছি তোমার কাজল কালো চোখের মায়ায় পরেছি তোমার চুলের গন্ধের মায়ায় পরেছি তোমার সুন্দর নাকের আমি মায়া পরেছি এই ভেবনা তোমার কায়ার মায়ার লোভে পরেছি হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি তোমার হেলেদোলে চলার মায়ায় পরেছি তোমার চোখের চাহনির মায়ায় পরেছি তোমার এলো কেশের আমি মায়ায় পরেছি তোমার মুখের মিষ্ট কাথার মায়ায় পরেছি এই ভেবনা তোমার কায়ার মায়ার লোভে পরেছি হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি তোমার লাল দোপাট্টার মায়ায় পরেছি তোমার ঐ কপলের টিপের মায়ায় পরেছি তোমার পায়ের নুপুরের মায়ায় পরেছি তোমার নাকের নুলকের মায়ায় প...

চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে --লালন কি বলে

চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে আমরা ভেবে করবো কি ওরে ঝিয়ের পেটে মায়ের জন্ম তোমরা তাদের বলবে কি ছয় মাসের এক কন্যা ছিল নয় মাসে তার গর্ভ হলো আবার এগারো মাসে তিনটি সন্তান কোনটা করবে ফকিরী ফকিরী ঘর আছে তার দুয়ার নাই লোক আছে তার বাক্য নাই কেবা তাহার আহার যোগায় কে দেয় সন্ধা বাতি সন্ধ্যা বাতি লালন ফকির ভেবে বলে মায়ে ছুইলে পুত্র মরে আরে এই কথার মান না জানিলে হবে না তার ফকিরী ফকিরী।। চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে এখন দেখা যাক এই গানের মাধ্যমে লালন কোন তথ্য আমাদের কাছে পৌচ্ছে দিতে চেয়ে ছিলেনঃ Uterus, a hollow organ inside a women's body where a baby grow up after fertile egg and sperm matches চাঁদের মতো গোলাকার দেখতে মাতৃগর্ভ আর শিশুকে চাঁদের সাথে তুলনা করা হয় এক চাঁদকে তুলনা করা হয়েছে মাতৃগর্ভের সাথে আরেক চাঁদ হলো ভ্রুন ছয়মাসের ভেতর এই ভ্রুনে জীবনের সঞ্চার হয় নয়মাসে এই ভ্রুন পরিপুর্ন শিশু হয়ে পৃথিবীতে আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় আর এগারো মাসে এই শিশু হাটতে শেখে (আমার শিশুরা ৯ মাসেই হাটতে শুরু করে – স্টান্ডার্ড সময় ১১ মাস) হাটার আগে শিশু হামা দিয়ে চিনে নেয় তার পরিসর ...

আর কতদিন জানি

শিরোনাম : "আর কতদিন জানি " কথা ও সুর : মহাত্মা লালন সাঁই আর কত দিন জানি, এ অবলার প্রান ই এ জ্বলনে জ্বলিবে ওহে দয়েশ্বর চিরদিনই দুঃখেরই অনলে প্রাণ জ্বলিছে আমার চিরদিনই দাসী মরলে ক্ষতি নাই, যাইহোক মরে যাই তোমার দয়াল নামের দোষ রবেরে গোঁসাই আমায় দাওহে দুঃখ যদি তবু তোমার সাধই তোমা ভিন্ন দোহাই আর দিবো কার চিরদিনই ও মেঘ হইয়ে উদয় ,লুকালে কোথায় পিপাসীর প্রাণ যায় পিপাসায় আমার কি দোষেরই ফলে এই দশা ঘটাইলে চাও হে নাথ ফিরে এখন, চাওহে একবার চিরদিনই আমি উড়ি হাওয়ার সাথ ,ধরি তোমার হাত তুমি না করাইলে কে করাবে হে নাথ আমার ক্ষমো অপরাধ দাওহে ঐ শীতল পদ লালন বলে প্রাণে সহেনা আমার চিরদিনই .