Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2013

চান্নি পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়

ও কারিগর, দয়ার সাগর, ওগো দয়াময় চান্নি পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়। চান্নি পসর চান্নি পসর আহারে আলো কে বেসেছে কে বেসেছে তাহারে ভালো কে দিয়েছে নিশি রাইতে দুধের চাদর গায় কে খেলেছে চন্দ্র খেলা ধবল ছায়ায় এখন খেলা থেমে গেছে মুছে গেছে রং অনেক দূরে বাজছে ঘণ্টা ঢং ঢং ঢং এখন যাব অচিন দেশে, অচিন কোন গায় চন্দ্রকারিগরের কাছে ধবল পঙ্খী নায় ও কারিগর, দয়ার সাগর, ওগো দয়াময় চান্নি পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়।

শাহ আব্দুল করিম

আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা আইলায় না, আইলায় নারে কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল বন্ধে মায়া লাগাইছে,পিরিতি শিখাইছে   আমি গান গাইতে পারি না

আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা

আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা কেমনে ভুলিব আমি বাঁচি না তারে ছাড়া ।। না আসিলে কালো ভ্রমর কে হবে যৌবনের দোসর? সে বিনে মোর শূন্য বাসর আমি জিয়ন্তে মরা ।। কুল-মানের আশা ছেড়ে মন-প্রাণ দিয়াছি যারে এখন সে কাঁদায় আমারে, এই কী তার প্রেমধারা ? শুইলে স্বপনে দেখি ঘুম ভাঙ্গিলে সবই ফাঁকি কত ভাবে তারে ডাকি তবু সে দেয় না সাড়া ।। আশা পথে চেয়ে থাকি তারে পাইলে হব সুখি এ করিমের মরণ বাকী, রইলো সে যে অধরা ।। কোন মেস্তরি নাও বানাইলো এমন দেখা যায়

আইলায় না, আইলায় নারে

আইলায় না, আইলায় নারে বন্ধু করলায়রে দিওয়ানা সূখ বশন্ত সূখের কালে শান্তিতো দিলায় নারে বন্ধু আইলায় নারে। অতি সাধের পিরিতরে বন্ধু নাইরে যার তুলনা দারুন বিচ্ছেদের জালা আমি আগেতো জানি নাইরে বন্ধু আইলায় নারে। গলে মোর কলংকের মালা কেউ ভালবাসে না কূল মান দিয়া কি করিব আমি তোমায় যদি পাই নারে বন্ধু আইলায় নারে। আব্দুল করিম কূল মান হারা তুমি কি জানো না সুসময়ে সুজন বন্ধু দেখাতো দিলায় নারে বন্ধু আইলায় নারে।

কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল

কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল। যার যা ইচ্ছা তাই বলে বুঝি না আসল নকল।। জন্ম আমার সিলেট জেলায় সুনামগঞ্জ মুহাকুমায়।। বসত করি দিরায় থানায়।। গায়ের নাম হয় উজানধল। কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল। যার যা ইচ্ছা তাই বলে বুঝি না আসল নকল।। কালনী নদির উত্তর পাড়ে আছি এক কুড়ে ঘরে, পোস্ট অফিস হয় ধলবাজারে ইউনিয়ন তাড়োল। কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল। যার যা ইচ্ছা তাই বলে বুঝি না আসল নকল।। পিতার নাম ইব্রাহিম আলি সোজা সরল আল্লাহর অলি পীর মুরসিদের চরন ধুলি।। করিমের সম্বল। কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল। যার যা ইচ্ছা তাই বলে বুঝি না আসল নকল।।

বন্ধে মায়া লাগাইছে,পিরিতি শিখাইছে

বন্ধে মায়া লাগাইছে,পিরিতি শিখাইছে দেওয়ানা বানাইছে কি যাদু করিয়া বন্ধে,মায়া লাগাইছে। বসে ভাবি নিরালায় আগেতো জানিনা বন্ধের পিরিতের জালায় যেমন ইটের ভাটায় কয়লা দিয়া আগুন জালাইছে। আমি কি বলিব আর বিচ্ছেদের আগুনে পুড়ে কলিজা আঙ্গার প্রান বন্ধের পিরিতের নেশায় কুলমান গেছে। বাউল আব্দুল করিম গায় ভুলিতে পারিনা আমার মনে যারে চায় কুলনাশা পিরিতের নেশায় কুলমান গেছে।

সাধক লালন শাহ

আর কি হবে মানব জনম  আমি অপার হয়ে বসে আছি ওহে দয়াময় সময় গেলে সাধন হবে না চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি এ বড় আজব কুদরতি মন তুমি সহজে কি সই হবা আমি ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই আমি অপার হয়ে বসে আছি ক্ষ্যাপা তুই না জেনে তোর আপন খবর যাবি কোথায় আমি অপার হয়ে বসে আছি আমি ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই মন তুমি সহজে কি সই হবা এ বড় আজব কুদরতি চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি  

আইলায় না, আইলায় নারে

আইলায় না, আইলায় নারে বন্ধু করলায়রে দিওয়ানা সূখ বশন্ত সূখের কালে শান্তিতো দিলায় নারে বন্ধু আইলায় নারে। অতি সাধের পিরিতরে বন্ধু নাইরে যার তুলনা দারুন বিচ্ছেদের জালা আমি আগেতো জানি নাইরে বন্ধু আইলায় নারে। গলে মোর কলংকের মালা কেউ ভালবাসে না কূল মান দিয়া কি করিব আমি তোমায় যদি পাই নারে বন্ধু আইলায় নারে। আব্দুল করিম কূল মান হারা তুমি কি জানো না সুসময়ে সুজন বন্ধু দেখাতো দিলায় নারে বন্ধু আইলায় নারে।

কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল

কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল। যার যা ইচ্ছা তাই বলে বুঝি না আসল নকল।। জন্ম আমার সিলেট জেলায় সুনামগঞ্জ মুহাকুমায়।। বসত করি দিরায় থানায়।। গায়ের নাম হয় উজানধল। কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল। যার যা ইচ্ছা তাই বলে বুঝি না আসল নকল।। কালনী নদির উত্তর পাড়ে আছি এক কুড়ে ঘরে, পোস্ট অফিস হয় ধলবাজারে ইউনিয়ন তাড়োল। কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল। যার যা ইচ্ছা তাই বলে বুঝি না আসল নকল।। পিতার নাম ইব্রাহিম আলি সোজা সরল আল্লাহর অলি পীর মুরসিদের চরন ধুলি।। করিমের সম্বল। কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল। যার যা ইচ্ছা তাই বলে বুঝি না আসল নকল।।

বন্ধে মায়া লাগাইছে,পিরিতি শিখাইছে

বন্ধে মায়া লাগাইছে,পিরিতি শিখাইছে দেওয়ানা বানাইছে কি যাদু করিয়া বন্ধে,মায়া লাগাইছে। বসে ভাবি নিরালায় আগেতো জানিনা বন্ধের পিরিতের জালায় যেমন ইটের ভাটায় কয়লা দিয়া আগুন জালাইছে। আমি কি বলিব আর বিচ্ছেদের আগুনে পুড়ে কলিজা আঙ্গার প্রান বন্ধের পিরিতের নেশায় কুলমান গেছে। বাউল আব্দুল করিম গায় ভুলিতে পারিনা আমার মনে যারে চায় কুলনাশা পিরিতের নেশায় কুলমান গেছে।

আমি গান গাইতে পারি না

গানে মিলে প্রাণের সন্ধান, সেই গান গাওয়া হলনা আমি গান গাইতে পারি না। জানিনা ভাব-ক্রান্তি গাইতে পারিনা সেই গান যেই গান গাইলে মিলে আঁধারে আলোর সন্ধান গাইলেন লালন, রাধা রমণ, হাসন রাজা দেওয়ানা আমি গান গাইতে পারি না বাউল মুকুন্দ দাস গেয়েছেন দেশেরই গান বিদ্রোহী নজরুলের গানে পাইলেন মুক্তির সন্ধান ভাবের গান গাইতে গেলে অভাবে ভাব জাগেনা আমি গান গাইতে পারি না আরকুম শাহ্, সিতালং ফকির বলেছেন 'মারফতি গাও' সৈয়দ শাহ্ নূরের গানে শুকনাতে দৌড়াইলেন নাও করিম বলে প্রাণ খুলে গাও গাইতে যাদের বাসনা আমি গান গাইতে পারি না।

ক্ষ্যাপা তুই না জেনে তোর আপন খবর যাবি কোথায়

ক্ষ্যাপা তুই না জেনে তোর আপন খবর যাবি কোথায়। আপন ঘর না বুঝে বাহিরে খুঁজে পড়বি ধাঁধায়।। আমি সত্য না হইলে হয় গুরু সত্য কোন কাজে আমি যেরূপ দেখ না সেরূপ দীন দয়াময়।। আত্মরূপে সেই অ-ধর সঙ্গী অংশে কলা তার ভেদ না জেনে বনে বনে ফিরিলে কি হয়।। আপনার আপনি না চিনে ঘুরবি কত ভুবনে লালন বলে, অন্তিম কালে নাই রে উপায়।।

আমি অপার হয়ে বসে আছি

আমি অপার হয়ে বসে আছি ও হে দয়াময়, পারে লয়ে যাও আমায়।। আমি একা রইলাম ঘাটে ভানু সে বসিল পাটে- (আমি) তোমা বিনে ঘোর সংকটে না দেখি উপায়।। নাই আমার ভজন-সাধন চিরদিন কুপথে গমন- নাম শুনেছি পতিত-পাবন তাইতে দিই দোহাই।। অগতির না দিলে গতি ঐ নামে রবে অখ্যাতি- লালন কয়, অকুলের পতি কে বলবে তোমায়।।

আমি ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই

আমি ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই। নইলে মোর দশা কি এমন হয়।। ভাব জানিনে প্রেম জানিনে দাসী হতে চাই চরণে। ভাব দিয়ে ভাব নিলে মনে সেই সে রাঙ্গা চরণ পায়।। নিজগুনে পদারবিন্দু দেন যদি সাঁই দীনবন্ধু ... তবে তরি ভবসিন্ধু নইলে না দেখি উপায়।। অহল্যা পাষানী ছিলো প্রভুর চরণ ধূলায় মানব হলো। লালন পথে পড়ে রইলো যা করে সাঁই দয়াময়।।

মন তুমি সহজে কি সই হবা

মন তুমি সহজে কি সই হবা ভাবার ঘরে মুগুর প'লে সেই দিনে গা টের পাবা চিরদিন ইচ্ছা মনে তুমি আইল ড্যাঙাইয়া ঘাস খাবা বাহার তো গেল চলে পথে যাও ঠ্যালা পেলে কোনদিন পাতাল ধাবা তবু তোমার যায় না এবার ট্যারা চলন বদ-লোভা সুখের আশা থাকলে মনে দুখের ভার নিদানে অবশ্য মাথায় নিবা ইল্লতে স্বভাব হলে পানিতে যায় না ধুলে খাসলতি কিসে ধুবা ফকির লালন বলে, হিসাব কালে সকল ফিকির হারাবা

এ বড় আজব কুদরতি

এ বড় আজব কুদরতি আঠার মোকামের মাঝে জ্বলছে একটি রূপের বাতি কিবা রে কুদরতি খেলা জলের মাঝে অগ্নি-জ্বালা খবর জানতে হয় নিরালা নীরে ক্ষীরে আছে জ্যোতি ফণিমনি লাল জহরে সে বাতি রেখেছে ঘিরে তিন সময় তিন যোগ সেই ঘরে যে জানে সে মহারতি থাকতে বাতি উজালাময় দেখতে যার বাসনা হৃদয় লালন কয়, কখন কোন সময় অন্ধকার হবে বসতি

চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি

চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি ভেদ-পরিচয় দেয় না আমায় ঐ খেদে ঝরে আঁখি।। পাখি বুলি বলে শুনতে পাই রূপ কেমন দেখিনা ভাই বিষম ঘোর দেখি। চেনাল পেলে চিনে নিতাম যেতো মনের ধুকধুকি।। পোষা পাখি চিনলাম না এ লজ্জা তো যাবে না উপায় কি করি! কোন দিন জানি যাবে উড়ে ধুলো দিয়ে দুই চোখই।। নয় দরজা খাঁচাতে যায় আসে পাখি কোন পথে চোখে দিয়ে রে ভেল্কি। সিরাজ সাঁই কয় বয় লালন বয় ফাঁদ পেতে ঐ সিঁদমুখী।

সময় গেলে সাধন হবে না

সময় গেলে সাধন হবে না দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না তুমি কেন জানলে না সময় গেলে সাধন হবে না (জানো না মন খালে বিলে থাকে না মিল জল শুকালে) কি হবে আর বাধন দিলে মোহনা শুকনা থাকে, মোহনা শুকনা থাকে, মোহনা শুকনা সময় গেলে সাধন হবে না সময় গেলে সাধন হবে না অসময়ে কৃষি করে মিছে মিছি খেটে মরে গাছ যদি হয় বীজের জোরে ফল ধরে না তাতে ফল ধরে না, ফল ধরে না, তাতে ফল ধরে না সময় গেলে সাধন হবে না অমাবস্যায় পূর্নিমা হয় মহা জোগ সে দিনের উদয় লালোন বলে তাহার সময় দনডোমো রয় না, দনডোমো রয় না সময় গেলে সাধন হবে না দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না সময় গেলে সাধোন হবে না